অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়া। শনিবার এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-এর বরাত দিয়ে রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনে সম্প্রতি দেশটির সবচেয়ে বড় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাম্প্রতিক উৎক্ষেপণের সঙ্গে যুক্ত কয়েক ডজন সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ারও ঘোষণা দেন কিম। তিনি বলেন, পারমাণবিক বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে রাষ্ট্র ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে নির্ভরযোগ্যভাবে রক্ষার জন্য। এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিধর কৌশলগত শক্তি হিসেবে নিজেদের এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করা, যা এই শতাব্দীতে নজিরবিহীন।
এদিন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্য এবং বিশ্বস্ত থাকার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন দেশটির কর্মকর্তারা। কিমের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দেন নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে চীন। উত্তর কোরিয়ার নেতা শি জিনপিংয়ের কাছে পাঠানো এক বার্তায় নিজ দেশের এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সম্প্রতি ফের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। ওনসান এলাকা থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা, যা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছাতে সক্ষম। অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নেয় পিয়ংইয়ং। এর মধ্যেই শনিবার কিম জং উনের কাছে চীনা প্রেসিডেন্টের বার্তা পাঠানোর খবর দিলো কেসিএনএ। একইদিন উত্তর কোরিয়াকে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করার সংকল্পের কথা জানান কিম জং উন।
Leave a Reply